বাদশা ভীষণ ভী-ষ-ণ রেগে গেছেন সেদিন ।
'আমার ভীষণ মন খারাপ, কেউ কি আমাকে খুশী করতে পারে না ? .
–সবাই চুপ।
সে কি ? কেউ যদি আমার মুখে হাসি ফোটাতে না পারে, আমি সববাইকার গর্দান নেবো ।”
এক উজিরের ইশারায় নসিরুদ্দিন মোল্লা এলেন বাদশার সামনে । বললেন –‘হুজুর, এই বান্দ কথা দিচ্ছে একটা গাধাকে আমি লেখাপড় শিখিয়ে পণ্ডিত করে দেবো। নিশ্চয়ই এতে আপনি খুশী হবেন ।”
‘ঠিক তো ?’ 'অজ্ঞে হ্যাঁ হুজুর, তবে আমাকে ন'দশ বছর সময় দিতে হবে ।
—বাদশার মুখে হাসি ফোটে । দরবার শেষ হতে সবাই ছেঁকে ধরলে মোল্লাকে—‘সত্যিই কি আপনি গাধাকে দশ বছরের মধ্যে পণ্ডিত করে দেবেন ?
'আরে ধ্যাৎ, তা হয় নাকি ?
তবে ? এর চেয়ে জল্লাদের কাছে মাথা দেওয়াই ভাল ছিল না কি?’
'আপনার সবাই একটা কথা ভুলে যাচ্ছেন। এখন আমার বয়স ষাট, আর বাদশার বয়স আশি । দশ বছর পার হবার আগে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। বাদশাও মারা যেতে পারেন, আমিও পটল তুলতে পারি। তাছাড়া,–বল তো যায় না, এর মধো গাধাটা হয়তো লেখাপড়া শিখে পণ্ডিত হতেও পারে।'
0 coment�rios: