গ্রামের এক বুড়ো জমিদার মারা গেলে হবে কী, তার মৃতদেহের দু-দুটো চোখ কেমন যেন ড্যাবড্যাবে দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলো । বন্ধ হবার নামটি নেই –সবাই তো ঐ দুটো চোখের দিকে তাকিয়ে ভয়েই সারা !
মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন—“আমার মন্ত্রে সব ঠিক হয়ে যাবে ’
বারংবার কোরাণ পাঠ হোল, মোনাজাত করা হোল, আল্লার দোয়া চাওয়া হোল ঘনঘন,-কিন্তু কোনমতেই জমিদারবাবুর খোলা চোখ ঠুটো বন্ধ আর হয় না, জ্বলজ্বল করে যেন চেয়ে রয়েছে ।
অগত্য ডাক পড়ে নসিরুদিন মোল্লার । মোল্লা এসে সবকিছু দেখেশুনে ইমামকে ধমক দিয়ে বলেন- ওসব মোনাজাতের কম্মো নয়। জলদি কয়েকজন বাঈজীকে এনে রোগীর সামনে নাচতে বলুন। ইমাম তো বটেই, বাড়ীর সবাই বেজায় খাপ্পা মোল্লার একথা শুনে।
এ্যাঁ, আমরা মরছি দুঃখে, আর এটা আপনার কাছে মজা হোল ?
মোল্লা সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন- আপনার খামোকা আমার ওপর চটছেন। আসলে কি জানেন, লোভীদের পেটের ক্ষিদে মিটতে পারে, কিন্তু চোখের খিদের হ্যাপা অনেক। মালিক মরে গিয়েও বলতে চাইছেন তাঁর চোখের খিদে মেটেনি। তাই চেয়ে আছেন । আর তাই তো আমি বাঈজী আমদানী করতে চাই।'
0 coment�rios: