বোধিসত্ত্ব একবার বণিক বংশে জন্ম নেন। ব্যবসা করে তিনি রোজগার করতেন।
তখন তিনি কাশীর সীমান্তের একটি গ্রামে অনেক ছুতোর থাকত। এক বৃদ্ধ ছুতোর আর তার ছেলে ছুতোরের কাজ করত। বুড়ো ছুতোরের মাথার সব চুলগুলো সাদা হয়ে গিয়েছিল। চামড়া কুঁচকে গিয়েছির বয়সের ভারে।
বুড়ো ছুতোর বকেদিন একটা কাঠ ফালা করে তারপর কাঠটাকে সমান করছিল। এমন সময় একটা মশা এসে তার তামার মত চকচকে টাকে বসল। শুঁড়দুটো ছুঁচের মতো ঢুকিয়ে দিল সেই টাকে। ছুতোরের ছেলে সামনেই বসে ছিল। বুড়ো ছেলেকে ডেকে বলল, ‘মাথার উপরে একটা মশা বসে হুল ফোটাচ্ছে। তাড়িয়ে দে না বাবা।’
ঠিক তখন বোধিসত্ত্ব মালপত্র বিক্রি করতে ঐ গ্রামে এসেছেন। ছুতোরের বাড়ির উঠোনে। ছুতোর তার ছেলেকে আবার বলল, দেনা বাবা মশাটা তাড়িয়ে।’ ছুতোরের ছেলে তখন ‘তাড়াচ্ছি’ বলে কুঠার তুলল।
তারপর এক আঘাতে বাবার মাথা দু টুকরো করে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে ছুতোর মারা গেল।
কান্ড দেখে বোধিসত্ত্ব থ। মনে মনে ভাবলেন, ‘মূর্খ বন্ধুর থেকে বুদ্ধিমান শত্রু ভালো। আর কিছু না হোক অন্তত সে ফাঁসির ভয়ে মানুষ খুন করবে না।’
0 coment�rios: