যেদিন হাটে যাইবার সময় বউ বার বার করিয়া বলিয়া দিয়াছে, “দেখ আজ হাটে যাইয়া আমার তেলের শিশিটা যে হারাইয়া আসিও না। এই শিশিটা আমার বাপের বাড়ি হইতে আনিয়াছি, কেমন দেখিতে!”
রহিম তেলের শিশি লইয়া হাটে চলির। এক জায়গায় বৃষ্টির পানিতে পথ পিছল হইয়া আছে। সেখানে আসিয়া তো পা টিপিয়া টিপিয়া চলিতে হয়। কিন্তু অসাবধান রহিম যেমন চলিতেছিল সেখানে আসিয়াও তেমনি চলিতে লাগিল। আর তখনি পা পিছলাইয়া আছাড় খাইল। হাতের শিশিটা মাটিতে পড়িয়া ভাঙ্গিয়া গেল।

বই তাড়াতাড়ি হঁকাটি আনিয়া তাহার হাতে দিল। হুঁকা টানিতে টানিতে রহিম আরম্ভ করিল, “আজিকার হাটে যে গিয়াছে তাহারই তেলের শিশি হারাইয়াছে। কতজন তেলের শিশি হারাইয়া পথে পথে তালাস করিয়া ফেরিতেছে।”
বউ জিজ্ঞাসা করিল,“বলি, আমাদের তেলের শিশিটা তো হারায় নাই।”
রহিম একটু কাশিয়া উত্তর করিল, “আমাদেরটাই তো পথ দেখাইছে। আমাদের শিশিটা প্রথম হারাইল। তারপর সকলেল তেলের শিশিই হারেইতে আরম্ভ করিল।”
0 coment�rios: